মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪১ অপরাহ্ন

এ এর উচ্চারণ

এ বর্ণটির দুটি উচ্চারণ হয় : (i) এর স্বাভাবিক উচ্চারণ (i) বিকৃত উচ্চারণ (এ্যা)। বিকৃত উচ্চারণ (এ্যা) বাঙালিদের উচ্চারণ প্রবণতা থেকে যুক্ত হয়েছৈ। সংস্কৃতে বা হিন্দিতে এ্যা নেই।
স্বাভাবিক উচ্চারণ : দেহ (দেহো), বেশ (বেশ), শেষ (শেশ)।
বিকৃত উচ্চারণ : (এ্যা) এক (এ্যাক), দেখা (দ্যাখা), খেলা (খ্যালা)।

এ উচ্চারণের অন্যান্য নিয়ম :
(i) শব্দের প্রথমে অবস্থিত এ-এর পরে ই, ঈ, উ, ঊ, এ, ও য়, র, ল, শ,হ থাকলে উক্ত ‘এ’ সোজা বা স্বাভাবিকভাবে উচ্চারিত হয়।
একাল (একাল) এরূপ (এরূপ) কেহ (কেহো)
একীভূত (একিভূতো) দেশ (দেশ) মেয়ে (মেয়ে)
সেগুন (শেগুন) দেহ (দেহো) একি (একি)
কেড়ে (কেড়ে) একূল (একুল) এশা (এশা)

(ii) শব্দের প্রথমে এ থাকলে এবং পরে অ বা আ থাকলে এ-কার এ্যা এর মতো উচ্চারিত হয় : যেমন (জ্যামোন), এখন (এ্যাখোন), এক (এ্যাক), পেঁচা (প্যাঁচা), খেলা (খ্যালা), ভেড়া (ভ্যাড়া), কেনা (ক্যানা), এমন (এ্যামন), বেটা (ব্যাটা) ইত্যাদি।
ব্যতিক্রম : সেবা (শেবা), সেথা (শেথা), সেরা (শেরা), লেখা (লেখা) ইত্যাদি।

(iii) এক সিলেবাসের শব্দের প্রথমে এ এবং ধাতুর পরে আ-প্রত্যয় যুক্ত হলে সেই এ সাধারণত এ্যা হিসেবে উচ্চারিত হয় :
বেচা (ব্যাচা) (বেচ্-ধাতুর আদি এ-কার)
ক্ষেপা (ক্ষ্যাপা), ফেলা (ফ্যালা), ঠেলা (ঠ্যালা) ইত্যাদি।

(iv) শব্দের প্রথশ এ থাকলে এবং পরে ং, ঙ, ঙ্গ এবং তার পরে ই, ঈ, উ কিংবা ঊ না থাকলে এ-কার এ্যা হিসেবে উচ্চারিত হয় :
ভেংচা (ভ্যাঙচা), লেংড়া (ল্যাঙড়া) নেংটা (ন্যাঙটা) ইত্যাদি।
ব্যতিক্রম : নেংটি (পরে ই-কার) (নেঙটি), বেঙ্গমী (বেঙগোমি), ভেঙচি (ভেঙচি) ইত্যাদি।

(v) একাক্ষরিক (one syllable) সর্বনাম পদ ও তৎসম শব্দের এ-কার অবিকৃত থাকে :
সে (শে) একান্তর (একান্তর) প্রেম – প্রেম
যে (জে) এষণা (এশোনা) দেবকী (দেবোকি)
কে (কে) কেতন (কেতোন)


পোস্টটি শেয়ার করুন...

© BengaliGrammar.Com
Maintenance by BengaliGrammar.Com