শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন
প্র : নবীনচন্দ্র সেন কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উ : ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রামের নোয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন?
প্র : তিনি কোথায় শিক্ষাগ্রহণ করেন?
উ : ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম স্কুল থেকে প্রবেশিকা, ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ. এবং জেনারেল অ্যাসে¤িব্লজ ইন্সটিটিউশন থেকে ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে বি.এ. পাস করেন।
প্র : তাঁর কর্মজীবন সম্পর্কে লেখ।
উ : বি.এ পাস করেই তিনি বিখ্যাত হেয়ার স্কুলে শিক্ষকতা করার সুযোগ পান। তিনি ঐ বছরই অর্থাৎ ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন। পরে তিনি ডেপুটি ম্যাজিসেট্রট পদে চাকরি করেন। ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করেন।
প্র : ছাত্রাবস্থায় কোন পত্রিকায় তাঁর কবিতা ছাপা হয়?
উ : প্যারীচরণ সরকার সম্পাদিত ‘এডুকেশন গেজেট’।
প্র : ‘অবকাশরঞ্জনী’ তাঁর কোন ভাবধারার কাব্যগ্রন্থ?
উ : দেশপ্রেম ও আত্মচিন্তামূলক।
প্র : তাঁর প্রতম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কী?
উ : ‘অবকাশরঞ্জনী’।
প্র : ‘পলাশীর যুদ্ধ’ (১৮৭৫) তাঁর কোন ধরনের কাব্যগ্রন্থ?
উ : ঐতিহাসিক আখ্যান কাব্য।
প্র : তিনি যে ত্রয়ীকাব্য রচনা করেছেন সেগুলোর নাম কী?
উ : রৈবতক (১৮৮৭), কুরুক্ষেত্র (১৮৯৩), প্রভাস (১৮৯৬)।
প্র : এই তিনটি কাব্যকে ত্রয়ীকাব্য বলা হয় কেন?
উ : কারণ, এই তিনটি কাব্যের কাহিনি একই সুতোয় বাঁধা। এই তিনটি কাব্যের নায়কই শ্রীকৃষ্ণ। রৈবতক-এ কৃষ্ণের আদি, কুরুক্ষেত্র-এ তার মধ্য, প্রভাস-এ কৃষ্ণের অন্তর্লীলা বর্ণিত হয়েছে।
প্র : নবীনচন্দ্র কি মহাকাব্য রচনা করেছেন?
উ : ঠিক মহাকাব্য যাকে বলে সেই লক্ষ্য সামনে রেখে তিনি গ্রন্থ রচনা করেন নি। তবে, তাঁর রচিত রৈবতক, কুরুক্ষেত্র ও প্রভাস একত্রে মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
প্র : নবীনচন্দ্র সেন রচিত আত্মজীবনীর নাম কী?
উ : আমারজীবন। এই গ্রন্থটি এই দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ইতিহাসের অন্যতম আকরগ্রন্থ হিসেবে বিবেচ্য।
প্র : নবীনচন্দ্র সেন রচিত অন্যান্য গ্রন্থের নাম উল্লেখ কর।
উ : ক্লিওপেট্রা, ভানুমতী, প্রবাসের পত্র, খৃষ্ট ও অমিতাভ, গীতা ও চন্ডীর অনুবাদ।
প্র : মানুষ হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন?
উ : অসাম্প্রদায়িক ও সমন্বয়বাদী। যিশু খ্রিষ্টের জীবনী লেখার পর হযরত মুহম্মদের জীবনী লেখার ইচ্ছা তিনি পোষণ করেছিলেন। তবে তার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
প্র : তিনি কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উ : ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে জানুয়ারি।